পঞ্চম অধ্যায়
প্রোগ্রামিং ভাষা
Lecture-01
প্রোগ্রাম: কম্পিউটারের সাহায্যে কোনো সমস্যা সমাধান করার জন্য একটি কর্মসূচীর প্রয়োজন। সেই কর্মসূচীর নাম হচ্ছে প্রোগ্রাম। এক বা একাধিক নির্দেশের সমষ্টিকে প্রোগ্রাম বলে।
প্রোগ্রামিং: প্রোগ্রাম রচনার কৌশলকে বলা হয় প্রোগ্রামিং।
প্রোগ্রামিং ভাষা: যে ভাষা ব্যবহার করে প্রোগ্রাম লিখা হয়, তাকে প্রোগ্রামিং ভাষা বলে।
আদর্শ প্রোগ্রাম:যে প্রোগ্রামে কম্পিউটার প্রোগ্রামের যাবতীয় গুনাবলি বিদ্যমান থাকে, সে প্রোগ্রামকে আদর্শ প্রোগ্রাম বলে।
আদর্শ প্রোগ্রামের ৪টি বৈশিষ্ট্য নি¤œরূপ:
১। প্রোগ্রামটি নির্ভুল।
২। যতটা সম্ভব সরল ও সংক্ষিপ্ত।
৩। যুক্তিপূর্ণ বিন্যাস।
৪। সহজে প্রোগ্রামটি পরিবর্তন, পরিবর্ধন ও ভুল সংশোধন করা যায়।
***বিভিন্ন স্তরের প্রোগ্রামিং ভাষা:
১। প্রথম প্রজন্মের ভাষা ঃ (১৯৪৫-১৯৪৯):
কম্পিটারের নিজস্ব ভাষা হচ্ছে মেশিন ভাষা। এটি কম্পিউটারের নিন্মস্তরের ভাষা। ০ এবং ১ দ্বারা এই ভাষা গঠিত বলে একে বাইনারী ভাষা বলে। ০ এবং ১ দিয়ে তৈরি ভাষাকে যান্ত্রিক ভাষা বলে। কম্পিউটার কেবলমাত্র যান্ত্রিক ভাষা বুঝতে পারে। তাই অন্য ভাষার লেখা প্রোগ্রামকে অনুবাদক প্রোগ্রামের মাধ্যমে যন্ত্র ভাষায় পরিনত করে নিতে হয় এবং পরে কার্যে পরিনত করতে হয়।
যান্ত্রিক ভাষার সুবিধা:
১। সংক্ষিপ্ত আকারে প্রোগ্রাম লিখা যায়।
২। প্রোগ্রাম নির্বাহে সময় কম লাগে।
৩। অনুবাদকের দরকার হয় না।
৪। অল্প মেমোরি প্রয়োজন হয়।
যান্ত্রিক ভাষার অসুবিধা:
১। সকল computer এর যান্ত্রিক ভাষা এক রকম নয়।
২। শুধুমাত্র ০ এবং ১ ব্যবহার করা হয় বলে প্রোগ্রাম লিখা কষ্টসাধ্য।
৩। ভুল বের করা এবং সংশোধন করা কঠিন।
৪। এক মেশিনে লিখা প্রোগ্রাম আরেক মেশিনে রান করা যায় না।
২। দ্বিতীয় প্রজন্মের ভাষা( ১৯৫০-১৯৫৯):
দ্বিতীয় প্রজন্মের ভাষার নাম Assembly ভাষা। এই ভাষাকে সাংকেতিক ভাষা বলে। ০ এবং ১ এর পরিবর্তে সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করা হয় বলে এই ভাষাকে সাংকেতিক ভাষা বলে।
Assembly ভাষার সুবিধা:
১। যন্ত্র ভাষার তুলনায় সহজেই প্রোগ্রাম লিখা যায়।
২। প্রোগ্রাম তৈরী করতে সময় তুলনামূলক কম লাগে।
৩। ভুল সংশোধন যন্ত্র ভাষার তুলনায় সহজ।
৪। সহজে প্রোগ্রামের পরিবর্তন করা যায়।
Assembly ভাষার অসুবিধা:
১। এই ভাষায় লিখিত প্রোগ্রাম মেশিনের সংগঠনের উপর নির্ভরশীল।
২। এক মেশিনের লেখা প্রোগ্রাম অন্য মেশিনে চালানো যায় না।
৩। অনুবাদক প্রোগ্রাম এর দরকার হয়। কারণ কম্পিউটার এই ভাষা সরাসরি বুঝতে পারে না।
৪। মেমোরী অপচয় বেশি হয়।
Assembly ভাষা এবং মেশিন ভাষার মধ্যে তুলনা:
১। মেশিন ভাষা ০ এবং ১ দিয়ে তৈরী । Assembly ভাষা সাংকেতিক চিহ্ন দিয়ে তৈরী।
২। মেশিন ভাষা বুঝার জন্য Computer এর অনুবাদকের দরকার হয় না। অপরদিকে Assembly ভাষা বুঝার জন্য Computer এর অনুবাদকের দরকার হয়।
৩। মেশিন ভাষায় মেমোরি অপচয় কম হয় । অপরদিকে Assembly ভাষায় মেমোরি অপচয় বেশি হয়।
৪। মেশিন ভাষায় ভুল সংশোধন করা কঠিন । অ্যাসেম্বলি ভাষায় ভুল সংশোধন করা তুলনামুলক সহজ।
৫। মেশিন ভাষায় শুধুমাত্র ০ এবং ১ব্যবহার করা হয় বলে প্রোগ্রাম লিখা কষ্টসাধ্য। অপর পক্ষে Assembly ভাষায় মেশিন ভাষার তুলনায় সহজেই প্রোগ্রাম লিখা যায়।